।।বিশেষ প্রতিনিধি।।
মানব সেবাই সর্বোত্তম। পৃথিবীর ইতিহাসে যারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন– তাদের স্মরণীয় বা বরণীয় হবার অন্তরালে যে মূলমন্ত্রটি রয়েছে তা হল মানুষ ও মানবতার সেবা করা। তেমনি মানব সেবার একজন প্রজ্জলীত গুনী ব্যক্তিত্ব এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন। যিনি ইতোমধ্যেই তার মমত্বময় কর্মগুনে বৃহওর লালমনিরহাট তথা সদর উপজেলার মানুষের হৃদয়ের কোমল অংশে ফুটন্ত রবির মতোই স্থান করে নিয়েছেন। এ কারণে সারা জেলার ন্যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সদরের আনাচে-কানাচে, চায়ের দোকানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকায় ইকবাল হোসেন মামুনের নাম জনমনে সাড়া জাগিয়ে বেশ আলোচনায় চলে এসেছে। মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলোচনায় ৯টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডে ও লালমনিরহাট পৌরসভা জুড়ে রয়েছে এই এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ নামঃ এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন। পিতার নামঃ মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস হোসেন। মাতার নামঃ মৃত আলেয়া বেগম। পিতামহের নামঃ শহীদ একলাল মিয়া। স্ত্রীর নামঃ মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাঃ শহীদ একলাল সড়ক, গোশালা বাজার সংলগ্ন, ডাকঘরঃ লালমনিরহাট, উপজেলা ও জেলাঃ লালমনিরহাট। জন্ম তারিখঃ ১৫/০৩/১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ১৯৯২ সালে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে এইচএসসি, এমএসএস (রাষ্ট্র বিজ্ঞান), এলএলবি, এলএলএম, এমফিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যান্য যোগ্যতাঃ নাট্য ও প্রমোদ বিষয়ক সম্পাদক, ছাত্র সংসদ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ (১৯৯২)। সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখা এবং ১নং যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, লালমনিরহাট জেলা শাখার দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করেছেন। রোটারী ক্লাব অব লালমনিরহাটের বর্তমান সেক্রেটারী (পরপর দুইবার ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০)।
সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাফল্যঃ অনুভব সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং অনুভব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব লালমনিরহাটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন ও রংধনু নাট্যগোষ্টি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সাধারণ সম্পাদক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, লালমনিরহাটসহ নানান সংগঠনের সহিত জড়িত ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপস্থিত বক্তব্য, ধারাবাহিক গল্প বলা, উপস্থিত অভিনয় ও খেলাধুলায় বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
“বিগত সরকারের আমল আর বর্তমান সরকারের আমলে আমার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট দেখলেই বোঝা যাবে আমি নিজের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি। তবে লাভের অংশ এতটুকুই যে, এখন আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়না। মিথ্যে মামলা আর অহেতুক হয়রানি হতে হয়না”- এভাবে সাবলীল ভাবে বলতে ছিলেন সাদা মনের মানুষ ইকবাল হোসেন মামুন। তিনি বলেন- বিগত সময়ে আমার নামে ১৩টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন অন্যায়ের সাথে আমি আপোষ করিনি। বিগত করোনা কালীন সময়ে আমি আমার সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছি অসহায়দের মাঝে। এবার রমজান মাসে আমার কিছু বরাদ্দ ছিল মেহনতী মানুষদের জন্য। তবে আমি প্রচার বা প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করি না। কারণ সবার উপরে মহান আল্লাহ সবকিছু দেখেন। আমার প্রাপ্যটুকু তিনিই দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
এই প্রতিবেদকের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে এগিয়ে চলছি। আমি আমরণ জয় বাংলার লোক হয়েই থাকতে চাই। অধিকার আদায়ে সবসময় ছিলাম বদ্ধপরিকর। কখনো নীতির সাথে আপোষ করনি। সুখে দুঃখে সবার সাথে কাজ করেছি। এখনো আমি সেবার ব্রত নিয়েই সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছি। মানুষের সেবা ছাড়া আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হোসেন মামুন বলেন- আমি আজীবন মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আমি মানুষের ভালবাসায় সিক্ত। তারই প্রতিদান হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদরবাসীর মনের আকাঙ্খা, চাওয়া পাওয়া, স্বপ্ন পূরণ ও মৌলিক প্রয়োজনগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা পূরণ করতে পারবো বলেই আমার বিশ্বাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইকবাল হোসেন মামুন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অলিগলি থেকে রাজপথ সবখানেই ইকবাল হোসেন মামুনের জয়জয়কার। ১নং ওয়ার্ড বাসিন্দা জনাব শাহাদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা মামুন ভাইকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। কারণ মামুন ভাইয়ের কোন বিকল্প নাই। তার দ্বারাই সদর উপজেলার উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব।।