নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মানুষের জিবনে কিছু বাস্তবতা, নিষ্ঠুরতা থাকে যা সিনেমার কাহিনিকেও হার মানায়। কিছু কষ্ট থাকে যার খেসারত সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। আর একজনের প্রতারণায় নষ্ট হয় কয়েকটা জিবন। প্রতারণা করেও প্রতারক চলে বীরের বেশে পক্ষান্তরে প্রতারিত, অসহায় ধুঁকে ধুঁকে বেড়ায় সুবিচারের আশায়।
তেমনি একটি অবহেলিত চরিত্রের নাম হালিমা আক্তার ওড়ফে রোমানা(৩০), বাড়ি কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায়। স্বামীর সাথে সংসার করার প্রত্যাশায় ইতোমধ্যেই করেছেন মামলা, অভিযোগসহ সবরকমের চেষ্টা। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে দারস্থ হয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে। এক ভিডিও বার্তা ও অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, লালমনিরহাটে জেলায় আদিতমারী থানাধীন মোঃ আঃ মোরশেদ ও মোছাঃ রেহানা পারভীনের ছেলে রাকিবুল হাসান (৩৬)। চাকুরীর সুবাদে গৃহবধূ হালিমা আক্তার রোমানাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। উল্লেখ্য, রাকিবুল হাসান বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে রোমানার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ায় এবং পরিকল্পনা মোতাবেক তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকারসহ লালমনিরহাটে সংসার করবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ বসবাস শুরু করে। ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে হালিমা আক্তার ওড়ফে রোমানার বাবাকে ডেকে এনে অপমান করে এবং মেয়েকে সাথে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। পরে হালিমা আক্তার উপায় না পেয়ে ধর্ষণ মামলা করলে, মামলা থেকে বাঁচতে
১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর উল্লেখ পূর্বক গত ২২-১২-২০২২ ইং বিয়ে করে। কিছুদিন পর রোমানা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রোমানার শাশুড়ী কৌশলে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ খাওয়ার। রোমানার শাশুড়ী যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করাসহ বিভিন্নভাবে তাকে মারধর করে। ফলে রোমানা বাধ্য হয়ে রাকিবুল হাসানের কর্মস্থল ঢাকা চলে আসে। সেখানে রাকিবুল হাসান যৌতুকের দাবীতে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে কৌশলে তাকে বলে বাবার বাড়ি কুমিল্লা যেতে। রাকিবুল বলে- ১০/১২ দিন বাবার বাড়িতে থাকো। এরপর নিয়ে আসবো। তার ক’দিন পরে রাকিবুল নোটারী পাবলিক থেকে তালাকনামার উকিল নোটিশ পাঠায় রোমানার বাড়িতে।
রোমানা বুঝতে পারে সে প্রতারনার শিকার। আগের স্বামী, সন্তান, টাকা, স্বর্ণ হারিয়ে রোমানা পাগল প্রায়। একাধিকবার রাকিবুল হাসানকে ফোন, এসএমএস করলেও উত্তর দেয়নি সে। আবার শাশুড়ী রেহানা পারভীনকে ফোন করলে তিনিও বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। পরিশেষে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেও এখনো কোন ফলাফল পাইনি অসহায় রোমানা। কান্না জড়িত কণ্ঠে রোমানা বলে- আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমার সংসার বাঁচান। ইতিপূর্বে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রোমানা। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে এখনো পাগলের বেশে উর্ধতন সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে রোমানা। সুষ্ঠু বিচারই তার একমাত্র কামনা।।
এ বিষয়ে রাকিবুল হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান- এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। তিনি তার স্ত্রী’র উপর দোষ চাপিয়ে বলেন- প্রচলিত আইনে যেকোন ব্যবস্হা নেয়া হোক না কেন, আমি তাই মাথা পেতে নেব। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।।