বিশেষ প্রতিনিধি।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন জাতীয় সংসদের উপ-নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মমিনুর আলমের কাছ থেকে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফী, জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন নেতা মাসুদার রহমানসহ পাঁচ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রংপুর-৩ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মমিনুর আলম জানান, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নির্দেশে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছি।
তিনি বলেন, রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির ঘাটি। আচরণবিধির কারণে আমরা মাত্র পাঁচজন এসে মনোনয়ন ফরম তুললাম। মাননীয় মেয়রসহ অন্যান্যরা আসতে পারেন নাই। তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি থাকবো। নির্বাচনের বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত নিবে, সেই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকুলে থাকবে কি না।?
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, ভোটাররা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, পরিবেশ পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে, তাহলে রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী হবেন জিএম কাদের এটা ফাইনাল।
রংপুর মহানগর সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমার মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসরি ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে লেবু জানান, তাদের সাথে আমাদের কোনো মত পার্থক্য নাই। তাদেরকে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সোমবার লেবু সাহেব আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। তিনি পার্টির চেয়ারম্যানের ফরম তোলার ব্যাপারে কথা বলেছেন। আমি বলেছি আপনারা তোলেন। যেহেতু তিনি এখানে প্রয়াত এরশাদের বাবার নামের হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন। সে কারণে চেয়ারম্যান তাকে তুলতে বলেছেন। তারা তুলেছেন। আমরা চেয়ারম্যানের সাথে আছি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সবাই আছে। থাকবো।
তিনি আরো বলেন, মনোনয়ন কেনা মানেই নির্বাচনে যাওয়া নয়। দল এবং পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিবেন, নির্বাচনে যাবে কি যাবেন না। নির্বাচনে গেলে জোটবদ্ধ নাকি এককভাবে করবে। সব চেয়ারম্যান যেটা সিদ্ধান্ত নিবে। সেটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
মোস্তফা বলেন, নির্বাচন আসলে পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ম্যাডামকে দিয়ে একটি পক্ষ দলে ভাঙন তৈরির চেষ্টা করে। সেই পক্ষটির কোনো অস্তিত্ব নেই। ওই পক্ষটি এখন রওশন ম্যাডাম অসুস্থ। তাকে দিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। এটা কখনই বাস্তবায়ন হবে না।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদ সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে একটি সম্মানীয় পদ দেয়া আছে পার্টিতে। তার ওই পদে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই। যা করা হচ্ছে, তা তাকে দিয়ে অস্তিত্বহীন জনবিচ্ছিন্ন কিছু নামধারী নেতা করছে। যা কখনই হালে পানি পাবে না। যেমন ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে হালে পানি পায়নি।