শায়েক আবদার খান।। বিশেষ প্রতিনিধি।।
রাজধানীর দক্ষিণখান নগরিয়াবাড়ি, মোশাইর এক বাড়িওয়ালাকে হত্যার হুমকি, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও উক্ত বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বাসা থেকে বের করে দিয়ে তালা মেরে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে বাড়িওয়ালা এবং সকল ভাড়াটিয়ারা পলাতক রয়েছে। এই মর্মে দক্ষিনখান থানায় বিভিন্ন সময়ে জিডি এবং অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, মোহাম্মদ আতাউর রহমান খান বিগত ২০০৭ সালে এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে পাঁচ শতাংশ জমিসহ টিনের ঘর ক্রয় করেন। এরপর তিনি সেই জমিতে কয়েকটি টিনশেড ঘর স্থাপন করে ভাড়া দেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই জমি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম গং বাড়িওয়ালা আতাউর রহমান খানকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে থাকেন। এক সময় রফিকুল ইসলামের ছেলে জোরপূর্বক ২লাখ টাকা চাঁদা নেয় এবং তাতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে চাঁদা দাবি করতে থাকে।
বাধ্য হয়ে আতাউর রহমান খান গত ৪/৯/২৪ ইং তারিখে দক্ষিণখান থানায় রফিকুল ইসলাম, মেরাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সকল পিতা- তারাজ উদ্দিন, তারেক রহমান, পিতা রফিকুল ইসলাম, বাসা নং-৭৫, ৪৭ নাম্বার ওয়ার্ড, নগরিয়াবাড়ি, দক্ষিণখানকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দায়েরর পর পুলিশ আসলে আসামিগণ পুলিশের সামনেই আতাউর রহমানকে মারতে আসে। পরে স্থানীয় ব্যক্তি রতন মিয়া মীমাংসার দায়িত্ব নিলে আসামিপক্ষ তা না মেনে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আরো জানা যায়, রফিকুল ইসলাম একজন দাগি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। নাম প্রকাশ না করার সাথে একজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের সময় উত্তরা পূর্ব থানা লুটপাট করে অস্ত্র ছিনতাই এর ঘটনায় রফিকুল ইসলাম জড়িত। তাদের হাতে অনেক অস্ত্র আছে। তাদের সঙ্গে লাগতে গেলে যে কোন সময় গুলি করে মেরে ফেলতে পারে।
এমতাবস্থায় আতাউর রহমান খান খুব মানবতর জীবন যাপন করছেন। আতাউর রহমান খান বলেন, আমি ছোটখাটো একজন ব্যবসায়ী। আমার কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে জমি ও বাড়ি আমি কিনেছি। এখন তাদের অত্যাচারে থাকতে পারতেছি না। বিভিন্ন সময়ে অচেনা-অজানা লোকজন আমার বাসার সামনে ঘোরাঘুরি করে। আমি ভীত। আমি যদি আর সুষ্ঠু বিচার না পাই এ বাড়ি ছেড়ে আমাকে চলে যেতে হবে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবিষয়ে দক্ষিণখান থানায় ফোন করা হলে ওসি তাইফুর রহমান মির্জা বলেন- এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধৃত করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন- আইনের উর্ধে কেউ নয়। অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আমরা সুবিচার নিশ্চিত করতে যথারীতি চেষ্টা করছি।।