কল্লোল আহমেদ।। লালমনিরহাট।।
উজানের পাহাড়ী ঢল আর বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে, পাটক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ। অপরদিকে পানি বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে গত সপ্তাহ থেকে ধরলা নদীর ভাংঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ধরলা নদীর ভাংঙ্গনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান। ধরলা নদী ভাংঙ্গনের শিকার কতজন পরিবার তা এ সংবাদ লেখা পযর্ন্ত ওই চেয়ারম্যান জানাতে পারেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিস্তা নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি উঠানামা করছে।
তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানান, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারী থেকে ভারী এবং কতিপয় স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে তিস্তা নদীর কতিপয় পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
তাদের ১ জুলাই সোমবার ২০২৪ ইং তারিখ এর সন্ধ্যা ৬ টার প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছেঃ- তিস্তা নদী:
১। ডালিয়া পয়েন্ট – পানির সমতল ৫১.৬৭মিটার (বিপদসীমা = ৫২.১৫ মিটার) যা বিপদসীমার ৪৮সে.মি নিচে ।
২। কাউনিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল ২৮.০০ মিটার
(বিপদসীমা = ২৮.৭৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ০৫ সে.মি উপরে।
ধরলা নদীঃ
১। শিমুলবাড়ি পয়েন্ট –
পানি সমতল ৩০.৪৪ মিটার,
(বিপদসীমা = ৩১.০৯ মিটার) যা বিপদসীমার ৬৫ সে.মি নিচে।
লালমনিরহাটে গতকাল রোববার সকাল ৯টা হতে আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতঃ ৬ মিলিমিটার। তবে সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে লালমনিরহাট জেলায় ভারী বৃদ্ধিপাত অব্যহত রয়েছে।