বিশেষ প্রতিনিধি।।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগনের রায়ে নির্বাচিত হয়ে লালমনিরহাট-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান ও তার কন্যা অঝোরে কাঁদলেন সকল নেতা কর্মীর সামনে। সে সময় নীরবে কেঁদেছেন অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এ কান্না ছিল বিজয় আর ভালবাসার প্রতীক হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী এবারের চমক লালমনিরহাটের ০৩টি সংসদীয় আসনেই নৌকা মার্কার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লালমনিরহাট ০১আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন ৯০,০৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪,১৫৮টি। বেসরকারি ভাবে মোতাহার হোসেনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই আসনে ভোট তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা মুলক হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানকে অবরূদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠে এবং তিনি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
লালমনিরহাট-২ আসন কালিগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী সাবেক সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৭,৪৪০। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক ঈগল মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫১,৩৩৮টি। বেসরকারি ভাবে নুরুজ্জামান আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনের পরাজিত প্রার্থী ভোটের ফলাফল মেনে না নিয়ে কারচুপির অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
লালমনিরহাট-৩ সদর আসনে ভোটের আগেই ভোটের ফলাফল ভোটারদের কাছে পৌঁছে গেছে। দীর্ঘদিন পরে লালমনিরহাট সদর আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী দেবার কারনে নৌকার প্রার্থী নির্ভর ছিলেন। সদর আসনে তেমন কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলনা বললেই চলে। নৌকা মার্কার অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান ৭৬,৩৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর ঈগল মার্কা নিয়ে ১২,৯৯৭ ভোট পেয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটে বেসরকারি ভাবে অ্যাডঃমতিয়ার রহমানকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ভোটের ফলাফল হাতে আসার পর নেতাকর্মীবৃন্দ জেলা আওয়ামিলীগ কার্যালয়ে সমবেত হন। এসময় নেতা কর্মীদের ভালবাসায় চোখের জলে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান ও তার কন্যা নিশাত রেজওয়ানা সেঁজুতি, বাবা ও মেয়ে জড়িয়ে ধরে অঝোড়ে কেঁদে ফেলেন। তা দেখে নেতা- কর্মীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। এসময়ে এক অন্যরকম আবেগময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন লালমনিরহাট জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ অলংকৃত করে রেখেছেন। এলাকার মাটি ও মানুষের প্রাণের ভালবাসা আজ তাঁকে বিজয়ী করায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নিজের ভালবাসার আবেগ চেপে রাখতে না পেরে তিনি কেঁদে ফেললেন। এ যেন বিজয়ের কান্না, ভালবাসার কান্না।